ফলের ঔষধি গুনাবলি
পেয়ারা :
- বরই পাতা পিষে খেলে বাতের ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়।
- বরই রক্ত পরিষ্কার এবং হজমে সহায়তা করে।
- শুকনো বরই গুঁড়া ও আখের গুড় মিশিয়ে খেলে ইউরিন ইনফেকশন থাকবে না।
কলা:
- পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- কলার থোড় বা মোচা রান্না করে খেলে ডায়াবেটিস, আমাশয় ও আলসার নিরাময় হয়।
- পাকা বিচিকলার বীজ কৃমিনাশক।
চালতা :
- কচি চালতার রস পেটের গ্যাস দূর করে। বাতের ব্যথায়ও উপকারী।
- কাঁচা চালতার রস ও আখের গুড় মিশিয়ে খেলে কফ দূর হয়, শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
- পাকা চালতার রস চিনিসহ পান করলে সর্দিজ্বর উপশম হয়।
আনারস :
- পাকা আনারসের জুস নিয়মিত খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
- কচি আনারসের শ্বাস ও পাতার রস মধু মিশিয়ে খেলে কৃমি মরে যায়।
পানিফল :
- কাঁচা পানিফল তলপেটের ব্যথা কমায়।
- পানিফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে অ্যালার্জি ও হাত-পা ফোলা কমে যায়।
- বিছা কামড়ালে থেঁতলানো পানিফলের শাঁস প্রলেপ দিলে উপকার হয়।
কতবেল :
- পাকা কতবেল যকৃৎ ও হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।
- বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে ক্ষতস্থানে বেলের শাঁস প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।
- কচি কতবেল পাতার রস দুধ ও মিছরির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শিশুদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ ভালো হয়।
করমচা:
- পাতা সিদ্ধ করে পান করলে কালাজ্বর ভালো হয়।
- করমচায় চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না।
- ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়।
- করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
- শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে।
- যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।
- মৌসুমি সর্দি-জ্বর, কাশিতে করমচা খান বেশি করে।
- করমচা কখনো কৃমিনাশক হিসেবে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
- এ ছাড়া পেটের নানা অসুখের দাওয়াই করমচা।
- শরীরের ক্লান্তি দূর করে করমচা শরীরকে চাঙা রাখে।
- বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
- করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
- এটি ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
- এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়।
লেবু :
- লেবুর রস, আদা ও লবণ মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা ও সর্দি-কাশি উপশম হয়।
- লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে যেকোনো ক্ষত শুকায়।
- লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে রোদে পোড়া কালো দাগ থাকবে না।
কামরাঙ্গা :
- পাকা কামরাঙ্গা রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
- কাঁচা ফল ও পাতা সিদ্ধ করে পানি পান করলে বমি বন্ধ হয়।
- কামরাঙ্গা গাছের ডগা ও পাতার গুঁড়া খালি পেটে খেলে জলবসন্ত ও কৃমি নিরাময় হয়।
- কাশি ও অ্যাজমা নিরাময়ে পোড়া কামরাঙ্গা উপকারী।
আমলকী :
- আমলকী নিয়মিত খেলে হাঁপানি, কাঁশি ও জ্বর নিরাময় হয়।
- আমলকী রসের শরবত জন্ডিস, বদহজম দূর করে।
- আমলকীর বীজ চূর্ণ যকৃৎ, অজীর্ণ ও ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ কমায়।
বেল:
- পাকা বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।
- আমাশয় নিরাময়ে আধা পাকা বেল সিদ্ধ করে খেলে বেশ উপকার হয়।
- বেল পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে চোখের ছানি কেটে যায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
খেজুর :
- সকালে খালিপেটে আধাপাকা খেজুরের রস খেলে কৃমি চলে যায়।
- পাকা খেজুর শারীরিক দুর্বলতা কমায়, স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
- খেজুরের বিচি চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁতের যেকোনো দাগ চলে যায়।
- শুষ্ক কাশি এবং অ্যাজমায় খেজুর বীজ চূর্ণ বেশ উপকারী।
- খেজুর গাছের কাণ্ড থেকে নির্গত আঠা ডায়রিয়া ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়।
পেঁপে
পেঁপে
একটি অত্যন্ত উপকারি ফল। পেঁপে কাঁচা পাকা দু ভাবেই খাওয়া যায়। মুলুত পেঁপে থেকে আমরা যে সমস্ত উপকার পেতে পারি...
ঔষধি গুনাগুন:
কাঁচা পেঁপের রস থেকে পেপসিন নামক জারক রস পাওয়া যায়। যা অজীর্ণরোগে বিশেষ ফলদায়াক। পেঁপের আঠা মুত্রনালীর ক্ষতে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। ডিপথেরিয়া, স্পলীহা ও যকৃত বৃদ্ধিতে পেঁপের রসের ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। পেঁপের আঠা বাহ্যিক প্রয়োগও হয়। শুষ্ক দাদ ও একজিমাতে এর আঠা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।এছাড়া সবজি হিসাবে রান্না করে খেলে অর্শরোগে হিতকর এবং এটি স্তন বৃদ্ধি কারক হিসাবে প্রসিদ্ধ আছে। পেঁপের বীজ ক্রিমিনাশক রজঃনিসারক ও তৃষ্ণা নিবারক হিসাবে ব্যবহ্রত হয়। কাঁচা পেঁপের আঠাও বীজ ক্রিমিনাশক রজঃনিসারক ও প্লীহা-যকৃতের হিতকর। পাকা পেঁপে কোষ্ঠ পরিষ্কারক, বায়ুনাশক ও মূত্রকারক।
কাঁচা পেঁপের রস থেকে পেপসিন নামক জারক রস পাওয়া যায়। যা অজীর্ণরোগে বিশেষ ফলদায়াক। পেঁপের আঠা মুত্রনালীর ক্ষতে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। ডিপথেরিয়া, স্পলীহা ও যকৃত বৃদ্ধিতে পেঁপের রসের ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। পেঁপের আঠা বাহ্যিক প্রয়োগও হয়। শুষ্ক দাদ ও একজিমাতে এর আঠা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।এছাড়া সবজি হিসাবে রান্না করে খেলে অর্শরোগে হিতকর এবং এটি স্তন বৃদ্ধি কারক হিসাবে প্রসিদ্ধ আছে। পেঁপের বীজ ক্রিমিনাশক রজঃনিসারক ও তৃষ্ণা নিবারক হিসাবে ব্যবহ্রত হয়। কাঁচা পেঁপের আঠাও বীজ ক্রিমিনাশক রজঃনিসারক ও প্লীহা-যকৃতের হিতকর। পাকা পেঁপে কোষ্ঠ পরিষ্কারক, বায়ুনাশক ও মূত্রকারক।
v রক্ত আমাশয়: প্রত্যহ সকালে কাঁচা পেঁপের আঠা ৫/৭
ফোঁটা ৫/৬
টি বাতাসার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। ২/৩ দিন
খাওয়ার পর রক্তপড়া কমতে থাকবে।
v ক্রিমি: যে কোন
প্রকারের ক্রিমি হলে, পেঁপের আঠা ১৫ ফোঁটা ও মধু
১চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এরপর আধা ঘন্টা পরে উঞ্চ পানি আধ
কাপ খেয়ে তারপরে ১ চামচ কলিচুনের পানি খেতে হয়। এভাবে ২
দিন খেলে ক্রিমির উপদ্রব কমে যাবে।
v আমাশয়: আমাশয় ও পেটে যন্ত্রনা থাকলে কাঁচা পেঁপের আঠা ৩০ ফোঁটা ও ১
চামচ চুনের পানি মিশিয়ে তাতে একটু দুধ দিয়ে খেতে হবে। একবার খেলেই পেটের যন্ত্রনা কমে যাবে এবং আমাশয় কমে যাবে।
v যকৃত বৃদ্ধিতে: এই অবস্থা হলে ৩০ ফোঁটা পেঁপের আঠাতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে এক কাপ
পানিতে ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি সারাদিনে ৩বার খেতে হবে। ৪/৫ দিনের পর থেকে যকৃতের বৃদ্ধিটা কমতে থাকবে, তবে ৫/৬ দিন খাওয়ার পর সপ্তাহে ২ দিন
খাওয়াই ভালো। এভাবে ১ মাস
খেলে ভাল ফল
পাওয়া যাবে।
v ক্ষুধা ও হজম
শক্তিতে: প্রত্যেকদিন
সকালে ২/৩
ফোঁটা পেঁপের আঠা পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা ক্ষুধাও বেড়ে যাবে এবং
হজমও ঠিকভাবে হবে।
v পেট ফাঁপায়: কয়েক টুকরো পাকা পেঁপের শাঁষ, আর সামান্য লবন এবং
একটু গোলমরিচের গুড়ো একসংগে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা পেট ফাঁপার উপশম হয়।
v প্রবল জ্বরে: দেড় চামচ পেঁপে পাতার রস এক কাপ
পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা জ্বরের বেগ, বমি,
মাথার যন্ত্রনা, শরীরে দাহ কমে
যাবে। জ্বর কমে গেলে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
No comments